সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার কথা স্বীকার করল আসামি স্বাধীন

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অন্যতম আসামি স্বাধীন। শনিবার (৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর র‍্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানান, আসামি স্বাধীন গাড়ির চালক। তিনি ৯ থেকে ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। তিনি একটি গ্রপের সঙ্গে বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত আছেন। এদিকে গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ নিয়ে এই মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী বলেন, চক্রের নারী সদস্য বাদশাহ নামে এক ব্যক্তিকে বিরক্ত করছিল, তাই বাদশাহ সেই নারীকে আঘাত করে। এ ঘটনার পর চক্রের বাকি সদস্যরা বাদশাহকে ছুড়ি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। বিষয়টি দেখে ভিডিও করছিল তুহিন। চক্রের সদস্যরা ভিডিও করা দেখে ফেলায় তার ওপর হামলা করে। সিসিটিভি ফুটেজ ও আসামির স্বীকারোক্তি থেকে প্রাথমিকভাবে হত্যার এটাই কারণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরো ভালোভাবে বিষয়টি জানা যাবে।

শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, ভবানীপুরের উত্তরা এলাকার  সুমন, হোতাপারা এলাকার আল আমিন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকার স্বাধীন ও শাহ জালাল এবং মহানগরের চান্না এলাকার ফয়সাল হাসান। 

নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তুহিন পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।