ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫


https://www.ajkerbazzar.com/wp-content/uploads/2025/06/728X90_Option.gif

আমেরিকায় নেত্রীকে হত্যার কৌশল এঁকেছে জামায়াত-বিএনপি: ফরিদা রেজা


স্মার্ট আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক
৭:২২ - সোমবার, মে ১৫, ২০২৩
আমেরিকায় নেত্রীকে হত্যার কৌশল এঁকেছে জামায়াত-বিএনপি: ফরিদা রেজা

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জামায়াত-বিএনপির হামলায় আহত হয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড খ্যাত সৈয়দা ফরিদা রেজা নূর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- আমি যখন শুনলাম জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আমেরিকায় শেখ হাসিনার সফর ঘিরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার ছেলে জন শিকদারসহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সভায় গিয়ে ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। আপনারা বা সংবাদ কর্মীরা দেখেছেন সেই দিন আমরা কিভাবে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের হঠিয়ে দিয়েছি। এতে আমি ও আমার ছেলে জন সিকদারসহ বহু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মারাত্মক আহত হয়েছেন। তা আপনারা বিশ্ব মিডিয়ার মাধ্যমে অবলোকন করেছেন।

সৈয়দা ফরিদা রেজা নূর বলেন- আমরা আঁচ করতে পেরেছি জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা দেশের মাটিতে সুবিধা করতে না পেরে শুধু আমেরিকায় গিয়ে আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার কৌশল এঁকেছে। বিষয়টি উপলব্ধি করে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছি এবং তাদেরকে প্রতিহত করেছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা ছায়ায় আবৃত করে থাকবো ইনশাল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- যখন নেত্রী প্রয়োজন মনে করবে তখনই তার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যাব। তবে রাজনৈতিকভাবে আমি প্রতিষ্ঠিত। যেকোনো দায়িত্ব প্রদান করা হলে আমি আমার দক্ষতা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমার এলাকার মানুষের কল্যাণের কাজ করে যাব। আমি মনোনয়ন চাইবো কেন? আমার নেত্রী যদি মনে করে যে, আমি যোগ্যতা অর্জন করেছি তাহলে আমাকে ডেকে নিয়ে দায়িত্ব দেয়া হলে তাতে তৃপ্তি এবং আনন্দ থাকবে এবং কাজ করার স্পৃহ বেড়ে যাবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে সর্বস্তরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং জনগণ আমাকে চায়। আমি তাদেরকে বলে দিয়েছি আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে টিকেট দেয় তাহলে আপনাদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারের সাথে যে পরিবারেরটি স্বাধীনতাত্তোর এবং স্বাধীনতা পূর্ব থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য হচ্ছে মরহুম এমএ রেজা। যিনি শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলাধীন কার্তিকপুর জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ কলেজের ভিপি ছিলেন এমএ রেজা। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের সদস্যও ছিলেন। এছাড়া অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রটোকল অফিসার হিসেবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দায়িত্ব পালন করেন। তারই সহধর্মিনী সৈয়দা ফরিদা নূর। বর্তমানে ফরিদা রেজা নূর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরের পীরজান শরীফ সাহেবের কন্যা ফরিদা রেজা নূর।তিনি ধর্মীয় লেবাসে বড় হলেও রাজনৈতিক চর্চা থেকে বিরত থাকেননি। অত্যন্ত জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমতি ও উচ্চশিক্ষিত রমণী। স্বামীর রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের পাশাপাশি তিনিও আওয়ামী লীগের উত্তরসূরী হয়ে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। উচ্চশিক্ষিত এই নারী স্বামীর রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে এবং সেসব প্রতিষ্ঠানকে এখনো তিনি নিজ হাতে যেভাবে পারছেন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এলাকার আওয়ামী লীগের সংগঠনকে সংঘটিত করার পিছনে রয়েছে তার ভদ্র এবং মার্জিত ব্যবহারে গড়ে উঠেছে ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং কর্মীরা রয়েছে সংগঠিত। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য। চাওয়া পাওয়ার বা রাজনৈতিক লোভ-লালসা তাকে আক্রান্ত করতে পারিনি। জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম স্থপতি বঙ্গবন্ধুর তনয়া ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত আওয়ামী লীগের জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছে এই মহিয়ষী নারী।

এলাকায় অসহায় এবং দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সবসময়ই সাধারণ এবং সাদামাটা হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার রেকর্ড রয়েছে। তিনি পীর বংশের মেয়ে হয়েও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছেন।