ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৫


https://www.ajkerbazzar.com/wp-content/uploads/2025/06/728X90_Option.gif

নোয়াখালীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ


স্মার্ট প্রতিনিধি
৯:০১ - সোমবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
নোয়াখালীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পরিবারের মাঝে জাপান এশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি, জাপানের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

জাপান প্লাটফর্ম, জাপানের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বেসিক ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স (বিডিপি) এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ে সহযোগিতা করে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জেলা সদরের সোনাপুর ক্যাথলিক চার্চে ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এরআগে গত এক সপ্তাহে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ৬৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ গ্রহিতা সব পরিবারই সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে জাপান এশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি, জাপানের কর্মকর্তা নারিকো আতসুটা, হারুহিকো ওতানাবে, ইউকো কাওয়ামোটো, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিডিপির পরিচালক হেমেন্ত কোড়াইয়া, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফার. চার্লস জে. ইয়ং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন জন পল রোজারিও, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক লিল্টু বৈদ্য,  ক্যাথলিক চার্চ নোয়াখালীর পাল-পুরোহিত ফাদার যোয়াকিম কুল্লু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফার. চার্লস জে. ইয়ং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন জন পল রোজারিও বলেন, বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলা গত আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সময় অনেক মানুষ বন্যায় বাড়িঘর, জীবন-জীবিকা হারিয়েছেন। বন্যা পরবর্তী মানুষের সেই কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এই ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছি। আগামীতেও যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াবো।

এদিকে, নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল, সেনবাগসহ জেলার ৭টি উপজেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়া, পুকুর ও ঘের ভেসে মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখিন হয়েছেন কৃষকরা। নষ্ট হয়ে যাওয়া শহর ও গ্রামের সড়কগুলো এখনো সংস্কার হয়নি। ফলে মানুষের যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের।