নোয়াখালীকে প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন এখন আর শহরকেন্দ্রিক
নেই, এটি ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও। কুমিল্লায় নোয়াখালীবাসীর
গাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে জেলার
কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ
সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ইসমাইল
হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন
শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতা
অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা
কুমিল্লায় নোয়াখালীর গাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, কুমিল্লার
রাজপথ নোয়াখাইল্যাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। এই রক্তের প্রতিশোধ প্রতিহিংসা
নয়, বরং নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেয়া হবে-ইনশাআল্লাহ।
বক্তারা
আরও বলেন, নোয়াখালী বিভাগ শুধু একটি প্রশাসনিক কাঠামো নয়, এটি সমগ্র
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের সম্মান, ইতিহাস, অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও
দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রতিফলন।
শহর
থেকে গ্রাম পর্যন্ত এই আন্দোলনকারীদের দাবির মূল বক্তব্য- ভৌগলিক দূরত্ব,
জনসংখ্যা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অবকাঠামো, এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায়
নোয়াখালী এখনই আলাদা বিভাগ হওয়ার যোগ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সাইফুর রহমান রাসেল।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির
উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মাসুদ, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আনোয়ার
হোসেন, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. হেলাল
উদ্দিন, নুর ইসলাম নিরব, আরএস রিয়ান, সাবের হোসেন সাকিব, মো. সাহেদ, মো.
ইব্রাহিম প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা
জানান, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। এই আন্দোলনকে থামানোর
মতো শক্তি আর নেই। গ্রামের মাটি, শহরের রাজপথ, সব জায়গায়ই এখন এক দফার
গর্জন- 'নোয়াখালীকে বিভাগ' চাই।
আন্দোলনকারীরা
ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নোয়াখালীর মানুষ শান্ত হবে না, এবং
আগামী দিনে আরও বড় জনসমাবেশের মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে তীব্র করবে।