মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক
জাহিদ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বদলি-বাণিজ্য, অবৈধ সম্পদ
অর্জনসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার (০১ ডিসেম্বর) জাহিদ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে দুর্নীতি,
অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তপূর্বক
ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য
মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরেরমহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঢাকার
ধানমন্ডি হাজী আফসার উদ্দিন রোড়ের বাসিন্দা সুমন আহমেদ।
অভিযোগে
সুমন আহমেদ জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে
কর্মরত অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তার দাপ্তরিক
দায়িত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার, ভয়ভীতি প্রদর্শন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো,
অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি
ক্ষুন্ন করেছেন।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি
সূত্র দাবি করেন- জাহিদ হোসেন মোল্লা বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামে একটি কমিটির
মাধ্যমে পুরো দপ্তরকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে নিজের নেটওয়ার্ক
গড়ে তোলেন। পছন্দের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বদলির মাধ্যমে নিয়েছেন অনৈতিক
সুবিধা। তাদের অভিযোগ- মাত্র পাঁচ মাসে ৫০টির বেশি বিমান ভ্রমণ
করেছেন জাহিদ হোসেন মোল্লা। যার কোনো অনুমোদন বা ব্যয়ের নথি অধিদপ্তর
দেখাতে পারেনি। ঢাকার জাপান গার্ডেন সিটিতে একাধিক ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরে
বাড়ি, গ্রামের বাড়িতে শত বিঘা জমি, ব্যয়বহুল গাড়িসহ অস্বাভাবিক সম্পদের
অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি
মো.জিল্লুর রহমানের আত্মীয়কে বিয়ে করার সুবাদে তিনি রাজনৈতিক প্রভাবও
ব্যবহার করেছেন। এমনকি তার এসএসসি সনদ যাচাই নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়। তারা অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত করলেও ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
অভিযুক্ত জাহিদ হোসেন মোল্লার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে, অভিযোগ গ্রহণের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধান
কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল কাদেরের সরকারি
মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।