নোয়াখালীর মাইজদী হাউজিং এলাকার ই.এন.টি হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানে ভুল অপারেশনের অভিযোগে রিংকি আক্তার (২০) নামের এক রোগীর
মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে নাকের পলিপাস ও গলার টনসিল অপারেশন করার পর
তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
শনিবার দুপুরে রিংকির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালটিতে ভিড় করেন স্বজন ও
স্থানীয় লোকজন। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মজিবুল হকসহ
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
নিহত রিংকি আক্তার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ বাবুলের মেয়ে।
রিংকির
বড় ভাই মো. শাকিল জানান, কয়েকদিন আগে গলার সমস্যার জন্য ঢাকায় ডাক্তার
দেখালে জানা যায় রিংকির টনসিল ও নাকের পলিপাস রয়েছে, তবে এটি প্রাথমিক
মাত্রার সমস্যা। পরে মাইজদীর ই.এন.টি হাসপাতালে ডা. মজিবুল হকের কাছে
দেখালে তিনি দুই জায়গায় ছোট অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা জানান।
তিনি
জানান, গত ২৫ নভেম্বর দুপুরে রিংকিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেল সাড়ে ৪টার
দিকে তার অপারেশন করা হয়। পরদিন দ্রুত রিলিজ দেওয়া হয়। বাড়িতে নেওয়ার পর
থেকেই রিংকির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ডাক্তারকে ফোন করা হলে তিনি
স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
শনিবার সকালে রিংকির গলা দিয়ে রক্ত
বের হতে থাকলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর জানানো হয়
রিংকি আর নেই। এরপরই চিকিৎসক মজিবুল হক ও হাসপাতালের কর্মচারীরা পালিয়ে
যান। শাকিল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেছেন।
হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত চিকিৎসক মজিবুল
হকের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সুধারাম
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।