হেযবুত তওহীদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমির মাহবুব আলম
বলেছেন, বিপ্লব মানে আমূল পরিবর্তন। যুগে যুগে ছাত্র-তরুণরাই বিপ্লব
ঘটিয়েছে, আবার সেই বিপ্লব চুরি করে নিয়েছে সুশীল শ্রেণী, রাজনৈতিক নেতা ও
আন্তর্জাতিক পরাশক্তি। বাংলাদেশের ইতিহাসেও এ ধারা বহুবার ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের প্রকৃত মুক্তি একমাত্র তওহীদ প্রতিষ্ঠার
গণবিপ্লবেই সম্ভব। অন্য যে কোনো বিপ্লব বারবার স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা
চুরি হয়ে যাবে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর মেহরান ডাইন রেস্টুরেন্টে নোয়াখালী ছাত্র ফোরাম
আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তওহীদভিত্তিক
রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রদের ভূমিকা” শীর্ষক এ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদ ছাত্র
ফোরামের নোয়াখালী জেলা সভাপতি হৃদয় আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য হেবালিল্লাহ
বিনতে হাবিবের সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফোরামের
কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুগিরা বিন মনির।
সম্মেলনে উপস্থিত
অন্যান্য বক্তারা বলেন, পৃথিবীর বড় বড় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক
পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে তরুণ প্রজন্মের বড় অবদান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে
বাংলাদেশে এই তারুণ্যশক্তিকেই বারবার ব্যবহার করা হয়েছে স্বার্থান্বেষীদের
কাজে, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে।
বক্তারা বলেন,
বাংলাদেশ এখন গভীর সংকটের মুখে। মানুষ বিভক্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত। কেউ
নির্বাচনকে সমাধান বলছে, কেউ বলছে সংস্কার আগে। বাস্তবে কেউ কাউকে বিশ্বাস
করতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন একটি আদর্শ, তা হলো
তওহীদভিত্তিক জীবনব্যবস্থা।
বক্তারা আরও বলেন, তওহীদের ছায়াতলে
ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে মানুষ ইহকালেও মুক্তি পাবে, পরকালেও জান্নাত পাবে।
তরুণদের আর উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বা স্বার্থের রাজনীতির বলি হতে দেওয়া
যাবে না।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি
ইকরামা বিন খুরশিদ, সহ-সভাপতি নিশাত সাল-সাবিল, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক
সাজিদ মাহমুদ, সাহিত্য সম্পাদক সোহানা আফরিন স্বপ্না, কুমিল্লা জেলা সভাপতি
রিপন হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান হোসেন রিজভী প্রমুখ।
সম্মেলনে বৃহত্তর নোয়াখালীসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকশত ছাত্র ফোরাম নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।